Poverty (দারিদ্রতা)
প্রশ্নঃ Poverty (দারিদ্রতা)কি?
উত্তর ঃ মানুষ যখন বিপন্নতা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ
হয় তখন মানুষ ক্রমান্বয়ে দরিদ্র হয়ে পড়ে। মৌলিক চাহিদা যেমনঃ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি পূরণে ব্যর্থতাই
হলো দারিদ্রতা। প্রেক্ষাপট অনুসারে দরিদ্রতার প্রকাশ বিভিন্ন রূপ হয়ে থাকে। তবে মোটামুটিভাবে
বলা যায় যে, জীবিকায়নের বিপন্ন অবস্থা হতে উত্তরণ ঘটাতে না পারাই হলো দরিদ্রতা।
বিষয়টি এভাবেও বলা যেতে পারে যে, বিপন্নতা, দারিদ্রতা ও ভূমিহীনতা বিষয়গুলি
অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। যেমনঃ একজন ব্যক্তি বিপন্নতার কারনে দরিদ্র এবং দারিদ্রতার প্রভাবে
ভূমিহীন হতে পারে।
প্রশ্নঃ Reasons
of Poverty & How to overcome this Problem? দরিদ্রতার কারণগুলো কি কি (কর্ম এলাকায় বিদ্যমান সমস্যাগুলি কি কি?)? কিভাবে সেগুলি সমাধান করা যায়।
উত্তর ঃ দরিদ্রতার/সমস্যার কারন ও (সমাধানের উপায়গুলি)
নিচে দেওয়া হলো ঃ
§
শিক্ষার অভাব (শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে)
§
অধিক জনগোষ্ঠি (পরিবার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে)
§
পুষ্টিহীনতা (পুষ্টিজ্ঞান প্রদান করে)
§
পানি ও পরিবেশ দুষণ (পরিবেশ দুষণ রোধ করে)
§
সচেতনতা ও দক্ষতার অভাব (সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা
করে)
§
নিরক্ষরতা ও বেকারত্ব (শিক্ষা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
করে)
§
নারী-পুরুষের বৈষম্য (জেন্ডার বৈষম্যহ্রাসকরন,
নারীদের উন্নয়ন ও
নেতৃত্বের বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করে)
§
দাদনদারের প্রভাব/গ্রাম্য সুদ ব্যবস্থা (সহজ শর্তে অল্প সুদে
ঋণ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করে)
§
গ্রাম্য টাউট, দালাল ও ফরিয়াদের দুষ্ট চক্র
(সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে)
§
ইউনিয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও গ্রাম্য মাতব্বরদের দুর্নীতি (জবাবদিহীতা
নিশ্চিত করার মাধ্যমে)
§
বিভিন্ন গোত্রের দ্বন্দ্ব (দ্বন্দ্ব নিরসন ও ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত
করার মাধ্যমে)
§
প্রতিহিংসামূলক আচরণ (সুবিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে)
§
জনগোষ্ঠির অংশগ্রহণের অভাব (সমন্বিত প্রক্রিয়ায় জনগোষ্ঠির অংশগ্রহণ
নিশ্চিত করে)
§
ন্যায্য পারিশ্রমিক না পাওয়া (শ্রমের সঠিক মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত
করে)
§
লাগসই ও টেকসই প্রযুক্তির অভাব (প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন
নিশ্চিত করে)
§
প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ (দুর্যোগ মোকাবেলা ও পরিবেশ
উন্নয়ন করে)
§
প্রতি বছর স্থানান্তর হওয়া (বসবাসের জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন
করে
§
আবাদী জমির পরিমাণ কম (খাস জমির সঠিক বন্টন নিশ্চিত করে)
§
বাল্য বিবাহ, যৌতুক,
বহুবিবাহ,
নারী নির্যাতন ইত্যাদি
(সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করে)
§
প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের অপব্যবহার (প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের
উন্নয়নের মাধ্যমে)
প্রশ্নঃ Causes of the increase of slums in Bangladesh (বাংলাদেশে বস্তি এলাকা বৃদ্ধির কারনসমূহ)
উত্তর ঃ বাংলাদেশে
বস্তি এলাকা বিভিন্ন কারনে বেড়ে চলেছে। নিম্নে তার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হল ঃ
১. গ্রামের
অসহায় ও দরিদ্র লোকের শহরে আগমন
২. শহরের
ভাড়াটে বাড়ির উচ্চমূল্য
৩. শিল্প,
কল-কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের
নৈকট্য
৪. গ্রামাঞ্চলে
সুষ্ঠু অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অভাব
৫. আবাসিক
স্থানের অভাব
৬. বেকারত্ব
প্রশ্ন ঃ সদস্যদের অর্থনৈতিক
উন্নয়নে একজন উন্নয়ন কর্মীর করণীয় কি ?
উত্তর ঃ এক অর্থে পরিকল্পনা
ও অর্থবিজ্ঞান প্রায় সমার্থক। জীবনের চাহিদা এবং প্রয়োজন সীমাহীন এবং তা চরিতার্থ করার
উপাদান ও মাধ্যম সীমিত। অতএব স্বাভাবিকভাবেই সীমিত উপাদানগুলোর কোন ধরনের ব্যবহারের
ফলে চাহিদার সম্ভাব্য বৃহত্তম অংশ মেটানো সম্ভব এটাই অর্থ বিজ্ঞানের মূল সন্ধান এবং
জিজ্ঞাসার উৎস। পরিকল্পনাও এক অর্থে অনুরূপ। বহু সংখ্যক অভিষ্ট লক্ষের মধ্যে থেকে সর্বাধিক
প্রয়োজনীয় যেগুলো সেসব বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সনাক্ত করে তা অর্জনের জন্য সম্পদের যুত্তিগ্রাহ্য
বিভাজনই পরিকল্পনার প্রধান ক্রিয়াকলাপ।
দরিদ্র জনগোষ্ঠির যাতে
দারিদ্র লাঘব এবং টেকসই উন্নয়ন হয় সেজন্য তাদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সাথে মাথাপিছু
আয় এবং সঞ্চয় বৃদ্ধি পেতে হবে। যার ফলে তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সৃষ্টি হয়
এবং বিভিন্ন সামাজিক খাত (শিক্ষা,
পুষ্টি,
স্বাস্থ্য,
বাসস্থান ইত্যাদি) উন্নয়নের মাধ্যমে জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়। এজন্য একজন
উন্নয়ন কর্মী সংস্থার/প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষক, ভূমিহীন মজুর ও দরিদ্র মহিলাদেরকে
বিভিন্ন অআনুষ্ঠানিক গ্র“পে/দলে
সংগঠিত করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদের আয় বৃদ্ধি ও মূলধন গঠনের
জন্য ঋণ প্রদান করতে হবে। তাছাড়া মহিলা ও বেকারদের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের মাধ্যমে
কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এভাবে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানোর মাধ্যমে দারিদ্র
বিমোচন সম্ভব। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে শুধুমাত্র আয় বৃদ্ধি করা নয়, জনগণের
বেছে নেওয়ার অধিকারগুলোকে বিস্তৃত করতে হবে এবং জনগণকে নিয়ে আসতে হবে উন্নয়ন মঞ্চের
কেন্দ্র বিন্দুতে।
Comments
Post a Comment