জেন্ডার (Gender

 
Gender is the social identity of men and women which is different and changing depending on the place, time and culture.

Gender Role There are three types. E.g.
Productive role

2. Reproductive role

Ø 3 social role

Ø a) Role of social management

Ø b) Socio-political role
 
Ø  প্রশ্ন Gender Need (জেন্ডার চাহিদা) বলতে কি বোঝেন ?

Ø  উত্তর সাধারনতঃ চাহিদা বলতে আমরা মানুষের জীবন ধারনের জন্য অত্যাবশকীয় উপকরনের প্রয়োজনীয়তাকে বুঝি। সকল চাহিদা সাধারনতঃ স্বাভাবিক চাহিদা বা মৌলিক চাহিদা বলে চিহ্নিত। সাধারন চাহিদা জেন্ডার চাহিদার মধ্যে সুনির্দিষ্ট পার্থক্য রয়েছে। জেন্ডার চাহিদা কেবল নারীদের (পিছিয়ে থাকাদের) দেশ কাল পাত্র ভেদে অবস্থানগত পার্থক্য পরিলক্ষিত হলেও, বিশ্বব্যপী এখনও নারীরা পুরুষের তুলনায় অনেক অধঃস্তন অবস্থায় রয়েছে এবং নারীর এই অধঃস্তন/হীন অবস্থার কারনেই জেন্ডার চাহিদা শুধুমাত্র নারীদের হয়ে থাকে

Ø  জেন্ডার চাহিদা দু ধরনের। যথাঃ

Ø  .বাস্তাবমুখী জেন্ডার চাহিদা

Ø  .কৌশলগত জেন্ডার চাহিদা

(নারী উন্নয়ন) জেন্ডার প্রেক্ষাপটে নারী উন্নয়নের পরিধি অনেক ব্যপক। নারী উন্নয়ন অর্থ নিছক নারীর আয়বৃদ্ধি করে তার দারিদ্র দূর করা না, সেই সঙ্গে তা নারীর মুক্তি এবং ক্ষমতায়নের বিষয়টিকেও ধারণ করে। জেন্ডারের আলোকে তাই নারী উন্নয়ন হলোঃ`vwi`ª `~ixKi‡Yi উন্নয়ন (একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া স্বরূপ উন্নয়ন)

Ø অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের উন্নয়ন (গণতান্ত্রায়নের লক্ষে উন্নয়ন)

Øঅসমতা দূরীকরণে উন্নয়ন (ক্ষমতায়নের লক্ষে উন্নয়ন)

Øআতœনির্ভরশীলতার লক্ষে উন্নয়ন (জেন্ডার বৈষম্যদূরীকরণের জন্য উন্নয়ন)

Ø  (অবস্থা) অবস্থা হল বস্তুগত। যেমনঃ খাদ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, আয়-উপার্জন, ক্ষমতা, জীবন যাত্রার মান ইত্যাদি। অবস্থার উন্নতির অর্থ হল জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন। তাই নারীর অবস্থা বলতে বোঝায় বস্তুগত অবস্থা। বাস্তবমুখী জেন্ডার চাহিদা পূরনে অবস্থার উন্নতি হয়।

Ø  (অবস্থান) অবস্থান হল সরাসরি মতামত প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহনের অধিকার, ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রন, সম্পদ, পছন্দ, মর্যাদা ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত। তাই কারও অবস্থার উন্নয়ন ঘটলেও অবস্থানের উন্নয়ন নাও ঘটতে পারে। নারীর অবস্থান বলতে নারীর মর্যাদা বা গুরুত্বকে বোঝায়। কৌশলগত জেন্ডার চাহিদা পূরণ হলে অবস্থানের উন্নতি হয়।

Ø  (জেন্ডার বিশ্লেষণ) জেন্ডার বিশ্লেষণ জেন্ডার শ্রমবিভাগ, শ্রমের প্রয়োজনীয় উপকরণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সুযোগ নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের শ্রমের সম সুফল ভোগ ইত্যাদির উপর দৃষ্টি দেয়। নারী পুরুষের উপর উন্নয়নের সুফল বা প্রভাব যে ভিন্ন হয়, সেটাও জেন্ডার বিশ্লেষণে স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। ছাড়াও শ্রেণী, বর্ণ, ধর্ম, গোত্র জাতীয়তা বা অন্যান্য আর সব বিষয় কিভাবে জেন্ডার বৈষম্যের সঙ্গে সম্পর্কিত তা বিবেচনা করে জেন্ডার বিশ্লেষণ।

Ø  (জেন্ডার সংবেদনশীলতা) জেন্ডার বৈষম্য (হতে পারে নারী কিংবা পুরুষের ক্ষেত্রে) সৃষ্টিকারী আর্থ-সামাজিক সাংস্কৃতিক কারনগুলি উপলদ্ধি বিবেচনা করা হল জেন্ডার সংবেদনশীলতা।

Ø   (জেন্ডার সচেতনতা) জেন্ডার সচেতনতা হল জেন্ডার সংবেদনশীল মনোভাব এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা কর্মসূচীর কেন্দ্রে নারীর চাহিদা অগ্রাধিকারকে স্থাপন করার একটি অঙ্গীকার। তাই জেন্ডার সচেতনতা প্রতিফলিত হলে তা যে কোন কর্মসূচী বা প্রকল্পে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠি এবং সেই পকল্পে বা কর্মসূচীতে নারীর অংশগ্রহণ তার সুফল ন্যায্যভাবে বন্টন করে।

Ø  (জেন্ডার পক্ষপাতদুষ্ট) প্রচলিত সংস্কৃতিক বিশ্বাস, রীতিনীতি এবং বিদ্যমান বৈষম্যমূলক সমাজ কাঠামোর পক্ষ অবলম্বন করা নারীকে অধঃস্তন করার মনোভাব হলো জেন্ডার পক্ষপাতদুষ্ট।

Ø   (জেন্ডার অন্ধত্ব) জেন্ডার অন্ধত্ব হল, যখন অহেতুক ধারণা করা হয় যে উন্নয়নের সুফল আপনা-আপনি সম ভাবে নারী পুরুষের মাঝে বন্টিত হবে এবং উভয়েই সমানভাবে লাভবান হবে কিংবা সমান দায়দায়িত্ব বহন করবে।

Ø   (জেন্ডার পরিবীক্ষন) জেন্ডার আলোকে প্রণীত একটি প্রকল্প/কর্মসূচী যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা তদারকী করাই হলো জেন্ডার পরিবীক্ষণ। জেন্ডার পরিবীক্ষণ বা মনিটরিং এর জন্য মৌলিক হাতিয়ার হচ্ছে জেন্ডর ভূমিকা জেন্ডর চাহিদা সনাক্তকরণ।

Ø  (সমতা) সমতা হচ্ছে নারী-পুরুষের সমঅধিকার, মর্যাদা পারস্পরিক শ্রদ্ধার নীতিকে প্রকাশ করে। সমতা সাধারনতঃ সম অবস্থা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বাস্তবায়ন ফলভোগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ, সুযোগ অধিকার আছে কিনা ?

Ø  (সাম্যতা) সাম্যতা সাধারনতঃ যে প্রক্রিয়ায় সমতা অর্জিত হয় তাকেই বোঝানো হয়। অর্থাৎ সাম্যতা হল সেই প্রক্রিয়া যা সমাজের অসমতা সৃষ্টিকারী দিকগুলির সংশোধন বা বিলোপকারী নীতিমালা প্রয়োগ করে সমতা বৃদ্ধিকারী দিকগুলির ওপর জোর দেয়। সাম্যতা হল ন্যয্যতা।

Ø  জেন্ডার বৈষম্য জেন্ডার বৈষম্য হলো পুরুষ হিসেবে অধিকারের ক্ষেত্রগুলিতে প্রাধান্য দেয়া যা নারীকে সমতা ভিত্তিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে এবং ক্ষতিগ্রস্থ করে। জেন্ডার বৈষম্য দুই প্রকার। যথা

Ø  প্রত্যক্ষ জেন্ডার বৈষম্য

Ø  সম্পদের উত্তরাধিকার

Ø  বিবাহিত নারীর অধিকার

Ø  চাকুরীতে নিয়োগের অধিকার

Ø  অবসরকালীন সময়-সীমা ইত্যাদি

Ø  পরোক্ষ জেন্ডার বৈষম্য

Ø  নিরপেক্ষ পরিবেশ

নিয়োগের ক্ষেত্রে সন্তান ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নারীকে নিয়োগ না দেয়া

Ø  সুপারভাইজার পরিচালনায় নারী না নেওয়া বা পুরুষকে প্রাধান্য দোয়া ইত্যাদি

Ø  জেন্ডার ভিন্নতা যে যে গুনাবলী ব্যক্তিকে পৃথক হিসেবে চিহ্নিত করে, তার স্বকীয়তা, নিজস্বতা, পার্থক্য তুলে ধরে তাকে ভিন্নতা বলে। নারী-পুরুষের মধ্যে শারীরিক ভিন্নতা আছে কিন্তু তাদের অধিকারের ক্ষেত্রে, দায়-দায়িত্বের ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরী করা হয়েছে।

Ø  ক্ষমতায়ন এর মাধ্যমে উন্নয়ন প্রত্যেক মানুষের আতœবিকাশ ঘটে তখনই, যখন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ পায়। এটি জীবনের জন্য মূল্যবান। ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে নারীরা সে সুযোগটি পান। তিনি তখন নিজের পরিবারের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কেননা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়ায় বরাবরই তাদের উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়। ক্ষুদ্রঋণ তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়েছে এবং এর মাধ্যমে তাদের হাতে অর্থ এসেছে। সাংসারিক আয়-ব্যায়ের মধ্যদিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তাঁদের মধ্যে সঞ্চয়প্রবণতা গড়ে ওঠে। এটি দিয়ে তারা কিছু করতে চান। তখন তিনি বড়ির বাইরে পা রাখেন। কোন সংগঠন বা কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হন। নতুন নতুন তথ্য জানার সুযোগ ঘটে। কোন কাজ বেছে নেবেন, সে বিষয়ে পরামর্শ পান। অর্থ কাজে লাগানের কৌশল শিখে ফেলেন। এভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্যোগী হওয়ার ফলে তার জীবনে পরিপূর্ণতা আসে, যা তার মানসিক শক্তি বাড়িয়ে দেয়। প্রতিরোধ বা প্রতিবাদ করতে শেখায়, যা তাকে সামাজিক প্রেক্ষপটে চলার জন্য প্রস্তুত করে।

Comments

Popular posts from this blog

Supervision, Monitoring and Evaluation.

Facilitation বা সহায়তা করা ।

Livelihoods Assets (স্থিতিশীল জীবিকার পরিসম্পদসমূহ)

Motivation বা উদবুদ্ধকরন।

Management, Planning, Co-operation.